রিজেন্ট পার্কে একদিন (প্রথম পর্ব)
31/05/2013 15:42
কুইন মেরি গার্ডেনের ফোয়ারা
ছোট বেলা পাঠ্য বইয়ের কোন এক প্রবন্ধে রিজেন্ট পার্কের লাইকা ফুলের কথা পড়েছিলাম। সেদিন কল্পনাও করিনি একদিন রিজেণ্ট পার্কে যাওয়া হবে। সৃষ্টি কর্তার অসংখ্য শোকরিয়া যে তিনি আমাকে এরকম একটি সুন্দর জায়গা দেখার সুযোগ দিয়েছেন।

লেকের উপর নির্মিত কাটের ব্রিজে হাঁটছি আমারা দুইজন
সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। অবশ্য এটা আমার জন্যে নতুন কিছু নয়। ঘড়িতে সকাল আটটা ছুঁইছুঁই। তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে ফ্রিজ থেকে একটি কুকের ক্যান আর পাস্তার বক্সটা একটা পলিতিনের ব্যগে নিয়ে নিলাম। রাতে গুচিয়ে রাখা ব্যাগ কাদে ঝুলিয়ে দৌড় দিলাম ট্রেন স্টেশনের দিকে। গন্তব্য ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ থেকে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন। টিকেট আগেই করা ছিল বলে কোন ঝামেলা পোহাতে হল না। এ দেশের এই এক নিয়ম কোন কিছু করতে হলে কিউ করতে হয় ফলে অজতা সময় নষ্ট!!

কুইন মেরি গার্ডেনে প্রবেশের প্রধান ফটক
আপু দুইবার ফোন করে নিশ্চিত হল আমি সত্যি আসছি কি না। কারন মাঝে মাঝে আমি আপুর সাথে দুষ্টুমি করি বলেই। আপুকে বললাম আসতে রাত হবে কিন্তু রিজেন্ট পার্কে যাব এ ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখলাম।
ট্রেন সেন্ট পেংক্রস ইন্টারন্যাশনালে যখন থামল তখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। এখান থেকে পাতাল রেলে রিজেন্ট পার্ক পাতাল স্টেশনে এসে নামলাম।

পার্কের ভিতরে এরকম অনেক গুলো ঝর্নাই চোখে পড়বে যার ঝির ঝির শব্দ মাতাল করে দেবে
রিজেন্ট পার্ক লন্ডনের রাজকীয় পার্ক গুলোর একটি। এটি লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্ক যার আয়তন প্রায় ৪১০ একর। পার্কটিতে দুটি বৃক্তাকার রাস্তা রয়েছে যার ভিতরেরটি inner circle এর বাহিরেরটি outer circle (৪.৩ কিঃমিঃ) নামে পরিচিত। এখানে বলে নেয়া ভাল যে, লন্ডনের বৃহত্তম পার্ক হচ্ছে হাইড পার্ক যার গল্প আরেকদিন হবে।

ইনার সার্কেলের একটি রাস্তা
পার্কটি মূলতঃ রিজেন্ট কলেজ, লন্ডন চিড়িয়াখানা, ওপেণ থিয়েটার, কুইন মেরি’জ গার্ডেন, হাব, বিশাল খেলার মাঠ, লেক, জীব বৈচিত্র্য, Zoological Society of London, লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদের জন্যে বিখ্যাত।
ইতিহাসে ফিরে গেলে দেখা যায় ১৬৪৯ সাল পর্যন্ত পার্কটি Marylebone Park নামে পরিচিত ছিল। পরে ১৮১১ সালের দিকে প্রিন্স রিজেন্ট বিখ্যাত আর্কিটেক্ট জন ন্যাস কে পার্কটির বিশাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন। পরে তার নামেই পার্কটির নাম করন করা হয়। ১৮১৮ সালের দিকে পার্কের কাজ শুরু হলে আরও কয়েক জন আর্কিটেক্ট তাকে সাহায্য করেন। পরে ১৮৩৫ সালের দিকে পার্কটি জনসাধারণের জন্যে খুলে দেয়া হয়। তখন অবশ্য পার্কটি সাপ্তায় মাত্র দুই দিন খোলা থাকত যেখানে বর্তমানে পুরো সাপ্তাহ পার্ক জনসাধারণের জন্যে খোলা থাকে।
বর্তমানে পার্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কুইন্স মেরি গার্ডেন ১৯৩০ সালের দিকে তৈরি করা হয়। কুইন্স মেরি গার্ডেনের রউজ গার্ডেনে পৃথিবীর প্রায় সকল প্রজাতির ও সকল রঙের গোলাপ ফুল রয়েছে যা দর্শনার্থীদের খুরাক হয়। এটি মূলতঃ রয়েল বোটানিক্যাল সোসাইটির আওতায় পরিচালিত হয়।

ওপেন থিয়েটার
পার্কটি বিভিন্ন ধরনের খেলার মাঠের জন্যেও বিখ্যাত। বিশেষ করে Tennis, Netball, Athletics, Cricket, Softball, Rounder, Football, Hockey, Australian Rules Football, Rugby, Ultimate Frisbee ইত্যাদি। পার্কটিতে বর্তমান কুইন ২০০৫ সালে the hub নামে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউয়ের একটি ভবন উদ্বোধন করেন। পার্কটিতে বেশ কিছু লেইক এবং ঝর্না সত্যই দেখার মত। এছাড়া পার্কটি ওপেন এয়ার থিয়েটারের জন্যেও বিখ্যাত। ওপেন থিয়েটারে পারফর্ম করেছেন এমন কয়েক জনের মধ্যে Benedict Cumberbatch, Anna Neagle, Robert Helpmann, Vivian Leigh, Eileen Atkins, Leslie French, Bill Kenwright, Felicity Kendal,Anthony Andrews, Wayne Sleep, Ricky Tomlinson, Jeremy Irons, Zoë Wanamaker, Judi Dench, Celia Imrie, Lesley Garrett, Douglas Hodge, Richard E Grant, Natasha Richardson, Ralph Fiennes,Christopher Biggins, Jenny Galloway, Joanna Riding, Samantha Spiro, Jenna Russell, Liz Robertson,Toyah Willcox, Bernard Bresslaw (যিনি পারফর্ম করার সময় এই থিয়েটারেই মারা যান), Nigel Planer,Nigel Harman, Su Pollard, Milton Jones, John Malkovich, Scarlett Strallen, Sheridan Smith, Summer Strallen, Topol, Millicent Martin, Janie Dee, Clive Rowe, Martha Wainwright, Hannah Waddingham andHelen Dallimore উল্লেখযোগ্য।

পার্কের ভিতরের একটি মনুরম দৃশ্য
এত পজেটিভ দিকের পরেও ১৮৮২ সালের ২০ জুলাই Provisional Irish Republican Army (IRA) পার্কে ব্রিটিশ মিলিটারির একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বোমা হামলা করলে ১১জন সৈনিক এবং ১১ টি ঘোড়া মারা যায়। বর্তমানে পার্কে একটি ব্যান্ড স্ট্যান্ড রয়েছে ঘটনাটি স্বরন রাখার জন্যে। এছাড়া ১৮৬৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অতিরিক্ত তুষার পাতের কারনে পার্কে প্রায় ৪০ জন মারা যায়।

ব্যান্ড স্ট্যান্ডের বেদি

ব্যান্ড স্ট্যান্ডের সামনে আমি
পার্কের বিভিন্ন ধরনের জীব বৈচিত্রের কথা না বললেই নয়। বিশেষ করে পাখিদের কথা। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে পার্কটিতে প্রায় ২০০ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে। সেই সাথে আতিতি পাখিরাও আসে এখানে।

এরকম বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায় এই পার্কে

এই শ্বাস মূল দেখে সুন্দর বনের শ্বাস মূলের কথা মনে পড়ে গেল
এছাড়া আসে পাশে দিনের বেলা দু একটি শেয়াল দেখলে একটুও অবাক হবেন না। এরা এ পার্কেরই বাসিন্ধা। আবার হাতে খাবার কিছু থাকলে দু একটা কাঠ বিড়ালী পিছু নিতে পারে তবে দয়া করে এদের নিরাশ করবেন না।

পাখির প্রতি এদের সহানুভূতি সত্যি দেখার মত
মোবাইলে আসরের নামাজের আজান শুনে ছুটলাম মসজিদের দিকে। এত সুন্দর মসজিদ দেখে মন জুড়িয়ে গেল। এখানকার মসজিদ গুলোতে বাংলাদেশের মত মাইকে আজান দেয়া নিষিদ্ধ তবে ইস্ট লন্ডনের মসজিদে কেবল ফজরের আজান ছাড়া বাকি আজান মাইকে দেয়া হয়।

রিজেন্ট পার্ক মসজিদ
এবার ফিরে আসার পালা। খুব খারাপ লাগছিল তবে ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে আর পেছনে থাকাবার সময় পেলাম না।
আর পরে আরও কয়েকবার এই পার্কে আসার সুযোগ হলেও প্রথম বার তো প্রথম বারই!!

একেক ঝর্নার একেক রূপ

এই ঝর্নার দিকে তাকিয়ে সাইমুমের একটি গানের কথা মনে পড়ে গেল "ঝর্নার পাশে দাঁড়ালে......শুধু তোমার কথা মনে হয়....."

লেকে ঈগলের ভাস্কর্য

লেকের উপরে কাটের ব্রিজ

লেকের একটি দৃশ্য

লেকের ব্রিজে আমি

ছবির মত সুন্দর

একটু ছুঁয়ে দেখতে মন চায়

লেকের রাজ হাঁস

সারি সারি রাজ হাঁস

রিজেন্ট পার্ক
ছোট বেলা পাঠ্য বইয়ের কোন এক প্রবন্ধে রিজেন্ট পার্কের লাইকা ফুলের কথা পড়েছিলাম। সেদিন কল্পনাও করিনি একদিন রিজেণ্ট পার্কে যাওয়া হবে। সৃষ্টি কর্তার অসংখ্য শোকরিয়া যে তিনি আমাকে এরকম একটি সুন্দর জায়গা দেখার সুযোগ দিয়েছেন।

লেকের উপর নির্মিত কাটের ব্রিজে হাঁটছি আমারা দুইজন
সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে গেল। অবশ্য এটা আমার জন্যে নতুন কিছু নয়। ঘড়িতে সকাল আটটা ছুঁইছুঁই। তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে ফ্রিজ থেকে একটি কুকের ক্যান আর পাস্তার বক্সটা একটা পলিতিনের ব্যগে নিয়ে নিলাম। রাতে গুচিয়ে রাখা ব্যাগ কাদে ঝুলিয়ে দৌড় দিলাম ট্রেন স্টেশনের দিকে। গন্তব্য ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ থেকে ইংল্যান্ডের রাজধানী লন্ডন। টিকেট আগেই করা ছিল বলে কোন ঝামেলা পোহাতে হল না। এ দেশের এই এক নিয়ম কোন কিছু করতে হলে কিউ করতে হয় ফলে অজতা সময় নষ্ট!!

কুইন মেরি গার্ডেনে প্রবেশের প্রধান ফটক
আপু দুইবার ফোন করে নিশ্চিত হল আমি সত্যি আসছি কি না। কারন মাঝে মাঝে আমি আপুর সাথে দুষ্টুমি করি বলেই। আপুকে বললাম আসতে রাত হবে কিন্তু রিজেন্ট পার্কে যাব এ ব্যাপারটা লুকিয়ে রাখলাম।
ট্রেন সেন্ট পেংক্রস ইন্টারন্যাশনালে যখন থামল তখন প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। এখান থেকে পাতাল রেলে রিজেন্ট পার্ক পাতাল স্টেশনে এসে নামলাম।

পার্কের ভিতরে এরকম অনেক গুলো ঝর্নাই চোখে পড়বে যার ঝির ঝির শব্দ মাতাল করে দেবে
রিজেন্ট পার্ক লন্ডনের রাজকীয় পার্ক গুলোর একটি। এটি লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্ক যার আয়তন প্রায় ৪১০ একর। পার্কটিতে দুটি বৃক্তাকার রাস্তা রয়েছে যার ভিতরেরটি inner circle এর বাহিরেরটি outer circle (৪.৩ কিঃমিঃ) নামে পরিচিত। এখানে বলে নেয়া ভাল যে, লন্ডনের বৃহত্তম পার্ক হচ্ছে হাইড পার্ক যার গল্প আরেকদিন হবে।

ইনার সার্কেলের একটি রাস্তা
পার্কটি মূলতঃ রিজেন্ট কলেজ, লন্ডন চিড়িয়াখানা, ওপেণ থিয়েটার, কুইন মেরি’জ গার্ডেন, হাব, বিশাল খেলার মাঠ, লেক, জীব বৈচিত্র্য, Zoological Society of London, লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদের জন্যে বিখ্যাত।
ইতিহাসে ফিরে গেলে দেখা যায় ১৬৪৯ সাল পর্যন্ত পার্কটি Marylebone Park নামে পরিচিত ছিল। পরে ১৮১১ সালের দিকে প্রিন্স রিজেন্ট বিখ্যাত আর্কিটেক্ট জন ন্যাস কে পার্কটির বিশাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেন। পরে তার নামেই পার্কটির নাম করন করা হয়। ১৮১৮ সালের দিকে পার্কের কাজ শুরু হলে আরও কয়েক জন আর্কিটেক্ট তাকে সাহায্য করেন। পরে ১৮৩৫ সালের দিকে পার্কটি জনসাধারণের জন্যে খুলে দেয়া হয়। তখন অবশ্য পার্কটি সাপ্তায় মাত্র দুই দিন খোলা থাকত যেখানে বর্তমানে পুরো সাপ্তাহ পার্ক জনসাধারণের জন্যে খোলা থাকে।
বর্তমানে পার্কের সবচেয়ে আকর্ষণীয় কুইন্স মেরি গার্ডেন ১৯৩০ সালের দিকে তৈরি করা হয়। কুইন্স মেরি গার্ডেনের রউজ গার্ডেনে পৃথিবীর প্রায় সকল প্রজাতির ও সকল রঙের গোলাপ ফুল রয়েছে যা দর্শনার্থীদের খুরাক হয়। এটি মূলতঃ রয়েল বোটানিক্যাল সোসাইটির আওতায় পরিচালিত হয়।

ওপেন থিয়েটার
পার্কটি বিভিন্ন ধরনের খেলার মাঠের জন্যেও বিখ্যাত। বিশেষ করে Tennis, Netball, Athletics, Cricket, Softball, Rounder, Football, Hockey, Australian Rules Football, Rugby, Ultimate Frisbee ইত্যাদি। পার্কটিতে বর্তমান কুইন ২০০৫ সালে the hub নামে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউয়ের একটি ভবন উদ্বোধন করেন। পার্কটিতে বেশ কিছু লেইক এবং ঝর্না সত্যই দেখার মত। এছাড়া পার্কটি ওপেন এয়ার থিয়েটারের জন্যেও বিখ্যাত। ওপেন থিয়েটারে পারফর্ম করেছেন এমন কয়েক জনের মধ্যে Benedict Cumberbatch, Anna Neagle, Robert Helpmann, Vivian Leigh, Eileen Atkins, Leslie French, Bill Kenwright, Felicity Kendal,Anthony Andrews, Wayne Sleep, Ricky Tomlinson, Jeremy Irons, Zoë Wanamaker, Judi Dench, Celia Imrie, Lesley Garrett, Douglas Hodge, Richard E Grant, Natasha Richardson, Ralph Fiennes,Christopher Biggins, Jenny Galloway, Joanna Riding, Samantha Spiro, Jenna Russell, Liz Robertson,Toyah Willcox, Bernard Bresslaw (যিনি পারফর্ম করার সময় এই থিয়েটারেই মারা যান), Nigel Planer,Nigel Harman, Su Pollard, Milton Jones, John Malkovich, Scarlett Strallen, Sheridan Smith, Summer Strallen, Topol, Millicent Martin, Janie Dee, Clive Rowe, Martha Wainwright, Hannah Waddingham andHelen Dallimore উল্লেখযোগ্য।

পার্কের ভিতরের একটি মনুরম দৃশ্য
এত পজেটিভ দিকের পরেও ১৮৮২ সালের ২০ জুলাই Provisional Irish Republican Army (IRA) পার্কে ব্রিটিশ মিলিটারির একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বোমা হামলা করলে ১১জন সৈনিক এবং ১১ টি ঘোড়া মারা যায়। বর্তমানে পার্কে একটি ব্যান্ড স্ট্যান্ড রয়েছে ঘটনাটি স্বরন রাখার জন্যে। এছাড়া ১৮৬৭ সালের ১৫ জানুয়ারি অতিরিক্ত তুষার পাতের কারনে পার্কে প্রায় ৪০ জন মারা যায়।

ব্যান্ড স্ট্যান্ডের বেদি

ব্যান্ড স্ট্যান্ডের সামনে আমি
পার্কের বিভিন্ন ধরনের জীব বৈচিত্রের কথা না বললেই নয়। বিশেষ করে পাখিদের কথা। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে পার্কটিতে প্রায় ২০০ প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে। সেই সাথে আতিতি পাখিরাও আসে এখানে।

এরকম বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায় এই পার্কে

এই শ্বাস মূল দেখে সুন্দর বনের শ্বাস মূলের কথা মনে পড়ে গেল
এছাড়া আসে পাশে দিনের বেলা দু একটি শেয়াল দেখলে একটুও অবাক হবেন না। এরা এ পার্কেরই বাসিন্ধা। আবার হাতে খাবার কিছু থাকলে দু একটা কাঠ বিড়ালী পিছু নিতে পারে তবে দয়া করে এদের নিরাশ করবেন না।

পাখির প্রতি এদের সহানুভূতি সত্যি দেখার মত
মোবাইলে আসরের নামাজের আজান শুনে ছুটলাম মসজিদের দিকে। এত সুন্দর মসজিদ দেখে মন জুড়িয়ে গেল। এখানকার মসজিদ গুলোতে বাংলাদেশের মত মাইকে আজান দেয়া নিষিদ্ধ তবে ইস্ট লন্ডনের মসজিদে কেবল ফজরের আজান ছাড়া বাকি আজান মাইকে দেয়া হয়।

রিজেন্ট পার্ক মসজিদ
এবার ফিরে আসার পালা। খুব খারাপ লাগছিল তবে ঘড়ির কাটার দিকে তাকিয়ে আর পেছনে থাকাবার সময় পেলাম না।
আর পরে আরও কয়েকবার এই পার্কে আসার সুযোগ হলেও প্রথম বার তো প্রথম বারই!!

একেক ঝর্নার একেক রূপ

এই ঝর্নার দিকে তাকিয়ে সাইমুমের একটি গানের কথা মনে পড়ে গেল "ঝর্নার পাশে দাঁড়ালে......শুধু তোমার কথা মনে হয়....."

লেকে ঈগলের ভাস্কর্য

লেকের উপরে কাটের ব্রিজ

লেকের একটি দৃশ্য

লেকের ব্রিজে আমি

ছবির মত সুন্দর

একটু ছুঁয়ে দেখতে মন চায়

লেকের রাজ হাঁস

সারি সারি রাজ হাঁস

রিজেন্ট পার্ক