প্রচণ্ড তুষারপাত : বিদ্ধস্ত জনজীবন
20/07/2013 01:40
কয়রক দিন ধরে তাপমাত্রা আশ্চর্য রকম ভাবে কমে যাচ্ছিল। তাপমাত্রা কমে যাওয়া মানেই কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে তুষারপাত। হলও তাই দিনের বেলা সামান্য তুষারপাত হলেও রাতে তা প্রচণ্ড আকার ধারন করল। গতকাল জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটলো। রাতে চার ঘণ্টার জন্যে বিদ্যুৎ ছিলনা! তাপমাত্রা -৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে! এরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বলে ফায়ার প্লেস অন করে রেখেছিলাম।
ফলে তেমন সমস্যা হয়নি।


সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন জানালার পর্দা সরালাম দেখলাম সবকিছু কেমন সাদা হয়ে গেছে। উঠে দরজার সামন থেকে তুষার সরাতে হল। চির চেনা কবুতরগুলোকে দেখে কেমন জানি মায়া হল। ঘর থেকে দু-পিস ব্রেড এনে ছিটিয়ে দিলাম।

সবাই মিলে স্নো ম্যান বানাব বলে টিক করলাম। তুষারপাত হলে এটা আমার প্রথম কাজ। যতই ব্যাস্ত থাকিনা কেন!!

তুষারপাত হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় খামারের মেষ আর পশু পাখিগুলো। বিশেষ করে কবুতর, সী-ঈগল, খরগুস ইত্যাদি। এখানে আমার কবুতরের পাশাপাশি দুটি সী-ঈগলের সাথে সখ্যতা আছে। এরা প্রতিদিন আমার জানালা বা দরজার পাশে এসে আমার অপেক্ষা করবে। কখন আমি এদেরকে খাবার দেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঠিক সময় মতো এরা এসে অপেক্ষা করে!!


কাজ শেষ করে একবার খামারের দিকে গেলাম। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মেষ গুলো আমার দিকে অসহায়ের মত কিচুক্ষন থাকিয়ে থাকল। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে গ্রামে থাকার মজাই আলাদা। লন্ডন আমার একদম পছন্দ নয়। আমার বড় আপু আর ছোট আপু এখানে গ্রামে থাকেন, শুধু মেজ আপু থাকে লন্ডনে। আপনারা কেউ যদি এদেশে আসেন তবে সবার আগে গ্রাম বেচে নেবেন। গ্রামে থাকার মজাই আলাদা।
কয়রক দিন ধরে তাপমাত্রা আশ্চর্য রকম ভাবে কমে যাচ্ছিল। তাপমাত্রা কমে যাওয়া মানেই কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে তুষারপাত। হলও তাই দিনের বেলা সামান্য তুষারপাত হলেও রাতে তা প্রচণ্ড আকার ধারন করল। গতকাল জীবনের একটি স্মরণীয় ঘটনা ঘটলো। রাতে চার ঘণ্টার জন্যে বিদ্যুৎ ছিলনা! তাপমাত্রা -৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে! এরা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বলে ফায়ার প্লেস অন করে রেখেছিলাম।
ফলে তেমন সমস্যা হয়নি।


সকালে ঘুম থেকে উঠে যখন জানালার পর্দা সরালাম দেখলাম সবকিছু কেমন সাদা হয়ে গেছে। উঠে দরজার সামন থেকে তুষার সরাতে হল। চির চেনা কবুতরগুলোকে দেখে কেমন জানি মায়া হল। ঘর থেকে দু-পিস ব্রেড এনে ছিটিয়ে দিলাম।

সবাই মিলে স্নো ম্যান বানাব বলে টিক করলাম। তুষারপাত হলে এটা আমার প্রথম কাজ। যতই ব্যাস্ত থাকিনা কেন!!

তুষারপাত হলে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় খামারের মেষ আর পশু পাখিগুলো। বিশেষ করে কবুতর, সী-ঈগল, খরগুস ইত্যাদি। এখানে আমার কবুতরের পাশাপাশি দুটি সী-ঈগলের সাথে সখ্যতা আছে। এরা প্রতিদিন আমার জানালা বা দরজার পাশে এসে আমার অপেক্ষা করবে। কখন আমি এদেরকে খাবার দেই। মজার ব্যাপার হচ্ছে ঠিক সময় মতো এরা এসে অপেক্ষা করে!!


কাজ শেষ করে একবার খামারের দিকে গেলাম। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় মেষ গুলো আমার দিকে অসহায়ের মত কিচুক্ষন থাকিয়ে থাকল। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে গ্রামে থাকার মজাই আলাদা। লন্ডন আমার একদম পছন্দ নয়। আমার বড় আপু আর ছোট আপু এখানে গ্রামে থাকেন, শুধু মেজ আপু থাকে লন্ডনে। আপনারা কেউ যদি এদেশে আসেন তবে সবার আগে গ্রাম বেচে নেবেন। গ্রামে থাকার মজাই আলাদা।
